New post


রাজ এবং মীম একই স্কুলে পড়ে, কিন্তু তারা একে অপরকে কখনো ভালো করে চিনতো না। রাজ ছিলো একটু লাজুক এবং নিজের মতো করে চলতে পছন্দ করতো। অন্যদিকে মীম ছিলো খুবই প্রাণবন্ত এবং সবার সাথে মিশতে ভালোবাসতো। তারা দুজনেই পড়াশোনায় ভালো ছিলো, তবে একে অপরের সাথে খুব একটা কথা বলতো না। একদিন স্কুলের প্রোজেক্টে তারা একসাথে কাজ করতে বাধ্য হলো। প্রথমে তারা একটু অস্বস্তি অনুভব করেছিলো, কারণ তাদের মধ্যে কোন বন্ধুত্ব ছিলো না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তারা একে অপরকে বুঝতে শুরু করলো। রাজ মীমের আত্মবিশ্বাস এবং উদ্যম দেখে মুগ্ধ হলো, আর মীম রাজের গভীর চিন্তাধারা এবং সৃষ্টিশীলতাকে সম্মান করতে শুরু করলো। প্রোজেক্টের কাজ চলাকালীন সময়ে তারা অনেক কথা বলতো, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতো। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে এক অদ্ভুত বন্ধুত্ব গড়ে উঠলো। রাজের লাজুক স্বভাব ধীরে ধীরে দূর হতে লাগলো মীমের সাহসিকতায়। আর মীমও রাজের কাছ থেকে ধৈর্য এবং মনোযোগ শিখতে লাগলো। প্রোজেক্ট শেষ হওয়ার পরও তারা একসাথে সময় কাটাতো। তারা বুঝতে পারলো যে, তাদের বন্ধুত্ব কেবল প্রোজেক্টের জন্য ছিলো না, বরং তারা একে অপরের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। গল্পের শেষের দিকে, রাজ এবং মীম বুঝতে পারলো যে, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে একজন ভালো বন্ধু থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তারা প্রতিজ্ঞা করলো, যে যাই হোক না কেন, তারা একে অপরের পাশে থাকবে সবসময়। এই গল্পের মাধ্যমে আমরা শিখতে পারি যে, বন্ধুত্ব যে কোনো অবস্থাতেই গড়ে উঠতে পারে, শুধু প্রয়োজন মনের মিল এবং আন্তরিকতার।
New post https://ift.tt/ns0eBpU

Post a Comment

0 Comments