রেলওয়ে স্টেশন ভৌতিক railway station is haunted and ghosts
railway station is haunted and ghostভারতবর্ষের এমন একটা রেলস্টেশন যেখানে 42 বছর ধরে কোন ট্রেন থামেনি। যখন কোন সময় এই স্টেশন থেকে ট্রেন অতিক্রম করত,তখন ট্রেনচালক ট্রেন কেন থামানোর পরিবর্তে সেখান থেকেঅতি অতি দ্রুত অতি ্রম করতে।শুধু তাই নয় এ রেলওস্টেশননিয়ে----িয়েস মানুষের মনে এতটাই ভয় ছিল যে, যখনই স্টেশন এর সামনে ট্রেন আসতো, ট্রেনে বসে থাকা সকল যাত্রীরা ট্রেনের দরজা-জানালা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে নিত, এবংএই স্টেশন কে পার হবার পর সকল যাত্রী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে। তবে তার পরেও দরজা জানালাখুলে দিত তবে। এমনটা নয় যে রেলওয়ে স্টেশনে কোন কর্মচারী কাজ করত না।
এবং দেখা যেত স্টেশনে কোন কর্মচারী নিয়োগ হলে কিছুদিন কাজ করার পর সেখান থেকে তারা চলে যেত ধীরে ধীরে এমনটা হয়ে উঠেছিল রেলওয়ে স্টেশনের পরিবেশ এখানে কোন কর্মচারী কাজ করতে চাইত না।
স্টেশনের কর্মচারীরা বলতো আমাদের যদি জোর জবরদস্তি করে স্টেশনে রাখা হয় তাহলে আমরা চাকরি ছেড়ে দেবো। এই ভাবে বলতে থাকে সকল কর্মচারীরা, অবশেষে যখন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কানেএকথা পৌঁছালো , এবং তারা জানতে পারল-এ রেলওয় স্টেশন এ কাজ করার মতো কোনো কর্মী অবশিষ্ট নেই, তখন তারা বাধ্য হয়ে স্টেশনটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
Affection your partner how to show terms for your partner
তবে চিন্তা করার বিষয় ছিল যে, এই রেলওয়ে স্টেশনে এমন কি জিনিস ছিল যার কারণে রেলওয়ে স্টেশন টি বন্ধ করতে হয়েছিল।
আর চিন্তা করার বিষয় ছিল যে কি কারণে কোন কর্মচারী স্টেশনে কাজকর্ম করতে চাইতো না, এমন কি
চাকরি ছাড়ার কথা ভাবতে।
কথা ভাবছো ট্রেনচালক ট্রেন থামানোর পরিবর্তে ট্রেনের গতিবেগ বাড়িয়ে নিতে।
police protection team কজন service stationmaster ছিল।
সকল প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য এবং স্টেশনের গভীর রহস্য জানার জন্য গল্পটিকে পুরোটা আপনাকে অবশ্যই পড়তে হবে।
চলুন শুরু করা যাক:-west bengal purulia
আমারও বলছি পশ্চিমবঙ্গ থেকে 260 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পুরুলিয়া জেলার কথা। এবং এই জেলাতেই 50 কিলোমিটার দূরে একটি গ্রাম আছে আরও যার নাম হল বেগুনকোদর-ওই গ্রামে একটি রেলওয়ে স্টেশন আছে, যাকে ভূতিয়া স্টেশনে বলে বলা যায়।আপনি সত্যি পড়েছেন আজও ভূতিয়া স্টেশন বলে পরিচিত।
সবথেকে অবাক করা ঘটনা হলো রেলওয়েস্টেশনের তালিকায় এই রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভূতিয়া স্টেশন বলে পরিচিত করা আছে। আসলে ১৯৬২ সালে এই রেলওয়ে স্টেশনটির সূত্রপাত হয়েছিল, তবে এই --
স্টেশন টি চালু হওয়ার ফলে বেগুনকোদার গ্রামের মানুষের অনেক সুবিধা হয়ে গিয়েছিল, কর্ম ক্ষেত্রে বা যেকোনো কাজে, ট্রেন ধরতে গেলে তাদের 40 কিমি দূরে যেতে হতো, যখন স্টেশন শুরু হয়েছিল তখন এখানকার মানুষ এই স্টেশন কে ব্যবহার করতে শুরু করেছিল।
তবে স্টেশন টি শুরু হবার পর পাঁচ বছর পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল।1967 সালের হঠাৎ এই একটি বড় ঘটনা দেখা দিয়েছিল কেন না,1967 সালে মোহন নামক এক স্টেশন মাস্টার কে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
মোহন নামক স্টেশন মাস্টার দেখেন যে, যখনই কোন স্টেশনে ট্রেন আসে তখন একটি মেয়ে ট্রেনের লাইন এর আগে দৌড়াদৌড়ি করে এগিয়ে যেতে থাকে, যদিও স্টেশন মাস্টার ওই ঘটনাটা কে গুরুত্ব দেননি।
দ্বিতীয় দিন স্টেশন মাস্টার আগের দিনের মতো একই ঘটনা লক্ষ্য করলেন যে মেয়েটি এত জোরে দৌড়াচ্ছে যে, ট্রেন কে পেছনে ফেলে দিয়েছিল। এবং কিভাবে দৌড়াতে দৌড়াতে মেয়েটিকে আর দেখাই গেল না।
এই ঘটনা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল কারণ ট্রেনে থাকা যাত্রীরা দেখেন ট্রেনের সাথে সাথে একটি মেয়ে দৌড়াতে থাকে। দৌড়াতে থাকে শুধু নয়, এর সাথে সাথে ট্রেনের লাইনে দাঁড়িয়ে নাচতে থাকে, এবং ট্রেন আসার সময় দৌড়ে ট্রেনের সামনে পৌঁছে যায়। আর অদৃশ্য হয়ে যায়।
এই ঘটনা দেখে স্টেশন মাস্টার বুঝতে পেরেছিলেন যে এই মেয়েটি কোন সাধারণ মেয়ে নয়, বরং একটি ভূত এবং ভয় পেয়ে কিছুদিনের জন্য তিনি নিজের গ্রামে চলে গিয়েছিলেন। গ্রামে চলে যাওয়ার পর তিনি মারা গিয়েছিলেন! কিন্তু তিনি, মারা যাওয়ার - আগে এই কাহিনী গ্রামের কিছু মানুষকে বলে গিয়েছিলেন। যার ফলে এই ঘটনা তখন গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছিল।
পরে এই স্টেশনে নতুন কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করা হয়েছিল,তিনি কিছুদিন কাজ করার পর রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে অন্য জায়গায় চলে যান, ধীরে ধীরে এই স্টেশনে এরকম চলতে থাকে, বাদে এই স্টেশনে কাজ করার মত কেউ ছিলনা, যখন এই ঘটনা রেল কর্তৃপক্ষ কানে পৌঁছায়, তখন রেল কর্তৃপক্ষ স্টেশন কে- মানে
বেগুনকোদর ভুতুড়ে স্টেশন বলে বন্ধ করে দেয়।
1968 সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া ভুতুড়ে স্টেশন, এখন এই বিজ্ঞানের যুগে, বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, এবং ওই গ্রামের মানুষের কাছে - স্টেশনটির সম্বন্ধে
জানার আগ্রহ প্রকাশ করে, গ্রামের মানুষরা বলেন একসময় একটি মেয়ে ট্রেন লাইনের উপর কাটা পড়ে ছিল! তার আতমা ভুত এই লাইনের উপর white sari পরবর ঘোরাফেরা করে,বিজ্ঞানের যুগে, বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এরপর আসল বেগুনকোদর স্টেশন কে 2009 সালে আবার চালু করে দেওয়া হয়েছিল।
রেলওয়ে স্টেশন ভৌতিক railway station is haunted and ghosts
0 Comments